সুস্থ জাতি গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম ও ব্যাপক। খেলাধুলার মাধ্যমে নিমর্ল আনন্দ পাওয়া যায় এবং নিরোগ শরীর গঠন করা যায়। মানব সভ্যতার ক্রম বিকাশের সাথে ক্রীড়াঙ্গনের প্রবাহমানতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াঙ্গন শুধুমাত্র গণমানুষের চিত্তবিনোদন ও আনন্দের ভিত্তি ভূমি নয়। ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াঙ্গন মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা ও অগ্রগতির বিস্তীর্ণ চলার পথে এক চিহ্নিত মাইল ফলক। যুব সমাজকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে সুস্থ শরীর ও সুন্দর জীবন গড়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে থাকে ক্রীড়াঙ্গন। মানবিক এবং নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে যুব সমাজকে ক্রীড়াঙ্গন এর দিকে ফেরাতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন। ছোট বেলা থেকেই ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকেই একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে উপজেলায় দারুন জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। নিজ গ্রামের একটি ক্লাবের মাধ্যমে তার পথ চলা শুরু হয়। তারপর ইউনিয়ন ছাত্র রাজনীতি, যুব রাজনীতি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, তারপর সরাসরি উপজেলা আওয়ামী লীগ। তারপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তারপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তারপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

তৃনমুল থেকে উঠে আসা সাবেক খেলোয়াড় এখনো ছাড়েনি ফুটবলকে। এখনো তিনি সময় পেলেই মাঠে নেমে পড়েন খেলতে। বিভিন্ন ইউনিয়নে যখন সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নিতে যান, তখন যদি দেখেন যে ফুটবল খেলা হচ্ছে। তিনি তাৎক্ষণিক গাড়ি‌ থামিয়ে নেমে পড়েন মাঠে। একসাথে তাদের সাথে খেলাধুলা করেন।খেলা শেষে খেলোয়াড়দের সাথে মতবিনিময় করেন তাদের খেলার সরঞ্জাম আছে কিনা, খেলতে কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা। সমস্যা থাকলে তাদেরকে যোগাযোগ করতে বলেন। তারা তার সাথে দেখা করলে খেলার জন্য জার্সি, বল ও খেলার জন্য বুট কিনে দেন তিনি। তিনি মাঠে থাকলে প্রাণ ফিরে পান সমর্থকরা, আর উজ্জিবীত হয় খেলোয়াড়রা। আর নিজে যখন মাঠে খেলোয়াড় তখন তো পুরো টিমে স্পীড বেড়ে যায় শতগুন।

শুক্রবার  জার্সি গায়ে দিয়ে মাঠে নেমে রীতিমত স্টাইকার হিসেবে ফুটবল খেলায় অংশ নিয়ে আবারো তা তিনি প্রমাণ করলেন। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় তিনি ফুটবল খেলেন তরুণ খেলোয়াড়দের সাথে। খেলাপাগল এই মানুষটি আজও ছাড়তে পারেননি ফুটবল কে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এই ক্রীড়ামোদি মানুষটি  রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় খেলাধুলা বেশিদিন না করলেও সময় পেলেই তিনি মাঠে যেতেন। এখনো নতুন প্রজন্মের  সাথে ফুটবল, ভলিবল, কাবাডি খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। এলাকার বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তরুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের সাথে পাল্লা দিয়ে তিনি দৃষ্টি নন্দন ফুটবল খেলা উপহার দেন।

নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করে ক্রীড়া চর্চাকে এগিয়ে নিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্কুল জীবন থেকেই খেলাধুলার সাথে তিনি সম্পৃক্ত। নানা ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি নিয়মিত খেলাধুলা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা তৃণমূল পর্যায়ে তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতে কাজ করছি।জাতীয় জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি জাতিকে সুস্থ, সবল, কর্মঠ, ও শক্তিশালী করতে, জাতির চরিত্র গঠনে ও জাতীয় চেতনার উম্মেষ ঘটাতে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিমেয়। খেলাধুলার মাধ্যমে দেশকে ভালবাসা যায়, দেশকে বড় করা যায় এবং দেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সার কথা হচ্ছে শরীর ও মনের সুষ্ঠু পরিচর্যার মাধ্যমে আসে জীবনের অমিত শক্তি এবং এর উপরই নির্ভর করে সার্বিক জাতীয় উন্নতি।

এস এম ফজলে রাব্বী শুভ
বার্তা সম্পাদক- bd1paper
Email- fajlerabbi17@gmail.com
Mobile- 01701 048284

Post a Comment

ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।

নবীনতর পূর্বতন