শেরপুর প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম হত‍্যার প্রধান আসামীকে আটক করলো সিআইডি বগুড়া।

গত ২০১৬ সালের জানুয়ারী ২২ তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শেরপুর থানার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দামুয়া গ্রামের একটি শিম ক্ষেতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম (৩৫) কে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পরদিন শনিবার বেলা ১১ঘটিকায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সেসময়ে শেরপুর থানা সুত্রে জানাযায় নিহতের মুখ মাফলার দিয়ে বাঁধা এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিলো। নিহত সাইদুল ইসলাম শেরপুর শহরের উলিপুর পাড়ার মোঃ আনোয়ার হোসেনের পুত্র। এক সময়ের ছাত্রলীগ কর্মী সাইদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত ছিল।

নিহত সাইদুল ইসলামের পিতা জানান ঘটনার দিন সাইদুল খালা শাশুরীর বাড়ী যাবার কথা বলে বেরিয়ে আর ঘরে ফেরেনি। পরদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে শেরপুর থানায় একটি হত‍্যা মামলা দায়ের করেন। শেরপুর থানা পুলিশ তদন্ত পূর্বক ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্ররণ করে। পরবর্তীতে আসামিগণ জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলাটি শেরপুর থানা হতে ডিবি বগুড়াতে স্থানান্তর হয়। পূর্নতদন্তের জন‍্য পিবিআই কে তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। পিবিআই আসামি মেহেদী হাসান পলাশকে পলাতক দেখিয়ে তিন জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। বাদীপক্ষ ওই অভিযোগ নারাজী'র আবেদন করলে আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়।

৪ বছর আত্মগোপনে থাকা পলাতক আসামি পলাশকে আটক প্রসঙ্গে সিআইডি পরিদর্শক মোঃ সাইদুল আলম বলেন, এ‍্যাডভোকেট হাসান বারি'র পুত্র মেহেদী হাসান পলাশ (২৬) কে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে বগুড়ার শেরপুর শহরের উলিপুরস্থ তার বাবার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়।

শনিবার আটককৃত মূল আসামি ও হত‍্যার পরিকল্পনাকারী মেহেদী হাসান পলাশ বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ আসমা মাহমুদ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় সাইদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার দ্বায় স্বীকার করে নেয়।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনালী বিছিন্ন করায় মৃত্যু ঘটে মর্মে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এই হত‍্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক মোঃ সাইদুল আলম বলেন- খুব দ্রুত সময়ের মধ‍‍্যে হত‍্যার মূল আসামী সহ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া তিনজন চিহ্নিত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

Post a Comment

ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।

নবীনতর পূর্বতন