বগুড়ার ধুনটে দাদা দাদী ও দুই ফুপুর সঙ্গে ওয়াজ শুনতে এসে ধর্ষণের পর লাশ হয়ে ফিরলো সাত বছরের শিশু কন্যা তাবাচ্ছুম। নিহত তাবাচ্ছুম উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের নসরতপুর গ্রামের বেল্লাল হোসেন খোকনের মেয়ে। নসরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক আট টায় ভিকটিম তাবাচ্ছুম তার দাদা আব্দুস সবুর, দাদী ও দুই ফুপুর সঙ্গে নিজ গ্রাম নসরতপুরে বাড়ির নিকটবর্তী এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যায়। জানা যায়, মাহফিল ময়দানে সে একা একা হাটাহাটি করছিলো। রাত্রি আনুমানিক ১০ টায় তাবাচ্ছুম নিখোঁজ হলে স্থানীয় লোকজন খুঁজতে শুরু করে। অনেক খোজাখুজির পর রাত একটায় নিজ গ্রামের জৈনক বাদশার বাঁশঝাড়ের নিকট হতে শিশু তাবাচ্ছুমকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ধারণা করা হচ্ছে শিশু তাবাচ্ছুমকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করার পূর্বে কোন নরপশু তাকে ধর্ষণের মতো পাশবিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালার বরাতে জানা যায় ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর শিশু তাবাচ্ছুমের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য ১৫ ডিসেম্বর সকালে মৃতদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

এস এম ফজলে রাব্বী শুভ
বার্তা সম্পাদক- bd1paper

Post a Comment

ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।

নবীনতর পূর্বতন