বগুড়ার ধুনটে নবাগত ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই এ্যাকশন শুরু করেছেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন নদ নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছে কয়েকটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা অবাধে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে ভাঙনের হুমকিতে বসত বাড়ি ও আবাদী জমি।
প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হলেও কোনোভাবেই বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন নদ নদীর তলদেশ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙন। মোবাইল কোর্টসহ স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানেও বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। বালু মহাল থাকলেও প্রশাসন দিতে পারছে না ইজারা। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। ঠিক তখনি ঐ সব বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন শুরু করেছেন ধুনটের নবাগত ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত। বিভিন্ন নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তালন করায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত। সোমবার বিকেলে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নিজ হাতে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছেন।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধুনট উপজেলার বাঙ্গালী, ইছামতি ও যমুনা সহ বিভিন্ন নদ-নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।প্রকাশ্যে ক্ষমতার গরম দেখিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি বালু দস্যু চক্র।তাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত। সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলপাচড়ী দক্ষিনপাড়া বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় রবিউল হাসান উৎসব নামের এক ব্যক্তির মেশিন ধ্বংস করেন নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ইউএনও। অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তিনি। এরপর নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে নিজ হাতে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, সোমবার বিকেলে বিলচাপড়ী বাঙ্গালী নদীতে অভিযান পরিচালনার সময় বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও তাদের একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া এপর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলার বথুয়াবাড়ী, নিমগাছী ও যমুনা নদী সহ বিভিন্ন এলাকার ১১টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস এবং কয়েক ব্যবসায়ীর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এস এম ফজলে রাব্বী শুভ, ধুনট, বগুড়াঃ-
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।