বার্তা সম্পাদক- এস এম ফজলে রাব্বী শুভ:-
বগুড়া ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামে বিয়ের আসর থেকে প্রেমিকাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে সেনা সদস্য সহ দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।এই ঘটনা জেরে পরের দিন ঐ প্রেমিকের বাবা বাদী হয়ে ঐ লম্পট প্রেমিকাকে ১ নং আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন, ২। মোঃ খবির হোসেন (৫২) পিতা- মৃত ইমার উদ্দিন প্রাং , ৩। মোঃ মেহেদী হাসান সবুজ(৩২), পিতা- মোঃ শাজাহান আলী, ৪। মোঃ রফিকুল ইসলাম টুলু(৪৫), পিতা- মৃত লাল মাহমুদ ফকির, ৫। শাহিনুর আলম (৪৮), পিতা-মৃত তবিবর রহমান সরকার, ৬। মোঃ মাসুদ রানা বাবুল (৩৫), পিতা- মৃত সামশুল হক সরকার, ৭। মোঃ শাহজাহান আলী সরকার (৬৫), পিতা- মৃত সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৮। মোঃ রহুল আমীন (৩৬), পিতা- মোঃ মতিয়ার রহমান, সর্ব সাং জোর শিমুল , ৯। মোঃ মুকুল হোসেন (৩০), পিতা- ফটিক প্রাং, ১০। মোঃ আতাউর রহমান (৪৮) পিতা- আমির উদ্দিন প্রাং উভয় সাং গোসাইবাড়ি সর্ব থানা ধুনট ১১। মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪৫)পিতা- মোঃ গোফফর সরকার সাং পাইকরতলী, থানা- সারিয়াকান্দি সর্ব জেলা বগুড়া’গণ সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন আসামী উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু (২৩) একজন সেনা সদস্য ,যাহার নং-১০০৭৭৩১, বর্তমানে সে ১৬ ক্যাভিলারী রামু ক্যান্টনমেন্ট , কক্সবাজার-এ কর্মরত আছে। আসামী ১। মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতা (১৯), পিতা- মোঃ খবির হোসেন প্রাং, সাং- জোর শিমুল সরকার পাড়া, থানা- ধুনট, জেলা- বগুড়া এর সাথে আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু (২৩) এর বিবাহের কথা চলছিল । বিবাহের কথাবার্তা চলাকালীন আসামী মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতা এর অভিভাবকগণ মোটা অঙ্কের মোহারানা দাবী করায়, আমি আমার নিকট আত্মীয়-স্বজনের সাথে বিষয়টি আলোচনা পূর্বক সিদ্ধান্তের গ্রহণ করব মর্মে জানাই। এমতাবস্থা চলাকালে আসামী মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতা এর অভিভাবকগণ আমাদের কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে অন্যত্র তার বিবাহ ঠিক করে। গত ০২/১০/২০২০ তারিখে আসামী মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকুকে জানায় যে, তার অভিভাবকগণ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্র বিবাহ দিচ্ছে। তখন আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু তার বন্ধু মোঃ সাদমান সালিদ (২২), পিতা- মোঃ আঃ শেখকুয়ার রহিমাবাদ (উত্তর পাড়া) থানা- শাজাহানপুর, জেলা- বগুড়া সহ মোটর সাইকেল যোগে ০২/১০/২০২০ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ২:৪৫ ঘটিকার সময় আসামী মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতা এর বসতবাড়িতে গিয়ে দেখে যে, আসামী মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতার বিবাহের আয়োজন চলছে। তখন আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু আসামী মোছাঃ জিনিয়া সানভি সুস্মিতার অভিভাবকদের বলে যে, সুস্মিতার সাথে আমার বিবাহের কথাবার্তা চলছিল কিন্তু আপনারা আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে অন্যত্র সুস্মিতার বিয়ে দিচ্ছেন কেন? এই কথা বলা মাত্র আসামী ২। মোঃ খবির হোসেন (৫২) পিতা- মৃত ইমার উদ্দিন প্রাং , ৩। মোঃ মেহেদী হাসান সবুজ (৩২), পিতা- মোঃ শাজাহান আলী, ৪। মোঃ রফিকুল ইসলাম টুলু(৪৫), পিতা- মৃত লাল মাহমুদ ফকির, ৫। শাহিনুর আলম (৪৮), পিতা- মৃত তবিবর রহমান সরকার, ৬। মোঃ মাসুদ রানা বাবুল (৩৫), পিতা- মৃত সামশুল হক সরকার, ৭। মোঃ শাহজাহান আলী সরকার (৬৫), পিতা- মৃত সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৮। মোঃ রহুল আমীন (৩৬), পিতা- মোঃ মতিয়ার রহমান, সর্ব সাং জোর শিমুল , ৯। মোঃ মুকুল হোসেন (৩০), পিতা- ফটিক প্রাং, ১০। মোঃ আতাউর রহমান (৪৮) পিতা- আমির উদ্দিন প্রাং উভয় সাং গোসাইবাড়ি সর্ব থানা ধুনট ১১। মোঃ বাচ্চু মিয়া(৪৫)পিতা- মোঃ গোফফর সরকার সাং পাইকরতলী, থানা- সারিয়াকান্দি সর্ব জেলা বগুড়া’গণ সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন আসামী একই উদ্দেশ্যে আসামী মোঃ শাহিনুর আলম এর হুকুমে আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু ও তার বন্ধু মোঃ সাদমান সালিদ’কে আটক করে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা-ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে আসামী মোঃ খবির হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা মোঃ ইমরান তরফদার রুকু এর মাথা লক্ষ্য করে স্বজরে আঘাত করলে আমার ছেলে তার ডান হাত দিয়ে উক্ত আঘাত ঠেকালে ডান হাতের বাহুতে লেগে গুরুতর হাড় ভাঙা জখম হয়। আসামী মোঃ মাসুদ রানা বাবুল আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু এর ডান চোখে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আসামী মোঃ শাহিনুর আলম তার হাতে থাকা গাছের ডাল দিয়ে মোঃ সাদমান সালিদ’কে এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালোশিরা ও ছিলা-ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে উপরোক্ত আসামীগণ আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু ও তার বন্ধু মোঃ সাদমান সালিদ’কে গাছের সাথে বেধে রাখে। ঐ সময় আসামী মোঃ রুহুল আমীন আমার ছেলে মোঃ ইমরন তরফদার রুকু এর প্যান্ট এর পকেটে থাকা একটি Realme X2 মোবাইল ফোন সেট, যাহার মূল্য অনুমান ৩০,০০০/= (ত্রিশ হাজার) টাকা, যাহার ব্যাবহৃত সিম নাম্বার ০১৮১৬৫১৭৫৯৬ ও মানিব্যাগে থাকা নগদ ৫,২০০/- (পাঁচ হাজার দুইশত) টাকা এবং আমার ছেলের বন্ধু মোঃ সাদমান সালিদ এর প্যান্টের পকেটে থাকা একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট ও মানিব্যাগসহ মানিব্যাগে থাকা নগদ- ২,৩০০/- (দুই হাজার তিনশত) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে বের করে নেয়।
ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ধুনট থানায় অবগত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ছেলে মোঃ ইমরান তরফদার রুকু ও তার বন্ধু মোঃ সাদমান সালিদ’কে উদ্ধার করে ধুনট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। আমার ছেলে বর্তমানে সিএমএইচ হাসপাতাল বগুড়াতে চিকিৎসাধীন আছে। আমার নিকট আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ-আলোচনা ও আমার ছেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যাস্ত থাকায় থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হ’ল।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
إرسال تعليق
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।