বার্তা সম্পাদক- এস এম ফজলে রাব্বী শুভ:-
বগুড়া ধুনটে চালের বাজার সহনীয় রাখতে শনিবার চালের বাজার, পাইকারি আড়ৎ, খুচরা বাজার সহ চালের আড়ৎ গুলো মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত। এসময় তিনি বিভিন্ন মিল চাতালে চালের মজুত ও চালের দাম পরিদর্শন করেন।
শনিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপজেলার বিভিন্ন মিল চাতালে ঘুরে মিলারদের সাথে কথা বলেন এবং নির্দেশনা দিয়ে বলেন, "ধানের দামের সঙ্গে চালের দামের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। কোনো ভাবেই যেন মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীরা বাড়তি সুবিধা না নিতে পারেন। ভোক্তারা যাতে সহনীয় দামে চাল কিনে খেতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে কেউ যদি কারসাজির চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।" একইসঙ্গে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি। চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী গুদামে চাল সরবরাহ করেন, যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকার আমদানিতে যেতে চায় না, গেলে মিলারদের আর্থিক ক্ষতি হবে এবং যেসব কৃষক ধান ধরে রেখেছে তারাও লোকসান করবে। এসময় যেসব মিল এগিয়ে আসবে তাদের এ, বি, ও সি ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মহামারী করোনায় সবাই বিপদগ্রস্ত। এবার না হয় লাভ একটু কম করলেন। প্রত্যেক বার লাভ সমান হয় না। এবার মানুষকে সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। ২০১৭ সালের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিল মালিকদের একটা আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হলে সরকার চাল আমদানির ওপর ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছিল ফলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিভিন্নভাবে আমদানি করা হয়। সে কারণে সেই বছর মিল মালিক এবং কৃষক উভয় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দাম আরো বাড়তে পারে, ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন গুজবও। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কারসাজি করছে, এমন অভিযোগ উঠছে। গুদামে মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে অবিলম্বে এর প্রতিকার না হলে চালের বাজার সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে অচিরেই। এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন চাল নিয়ে কারসাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
তিনি আরো বলেন, কৃষক বাঁচলে ধান উৎপাদন হবে এবং আপনারা চাউল কল মালিকরা বেঁচে থাকবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোসাইবাড়ী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল সরকার প্রমুখ।
إرسال تعليق
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।