বার্তা সম্পাদক- এস এম ফজলে রাব্বী শুভ:-
একটা তথ্য নেওয়ার জন্য আজ শনিবার সকাল ১১ টায় থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। থানাতে ঢুকতেই ডান পাশে চোখে পড়ে কোয়েক জন পুলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা নিজ হাতে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ লাগাচ্ছেন। সাথে সাথে চিত্রটি ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করতে দেরি করিনি।
চলছে ফুলের বাগান সাজানোর কাজ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের জন্য ধুনট থানার সেকেন্ড অফিসার আকবর আলী, সাব ইন্সপেক্টর প্রদিপ কুমার বর্মণ, সাব ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন সহ থানার কর্মচারীদের সাথে নিয়ে এবার নিজে হাতে কোদাল তুলে নিলেন ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধু বালা।
ইতোমধ্যে পুরো থানা চত্বর করা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কিছুদিন আগেও থানা প্রাঙন ছিলো অনেক নোংরা। কিন্তু এখন তা হতে চলেছে এক অনন্য পরিবেশ। পর্যায়ক্রমে বাগানের চার পাশে এসএস পাইপ দিয়ে ঘেরা ও টাইলস লাগানো হবে বলেও জানান তিনি। শুধু তাই নয় যোগদানের পর থেকে থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ দেখভালের পাশাপাশি সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। দায়িত্ব নিয়েই থানার সব পুলিশ সদস্যদের সমানভাবে দায়িত্ববণ্টন করে দিয়েছেন তিনি। নির্মাণকাজ শুরু করেছেন- ডিউটি অফিসারের কক্ষ, নতুন করে মেস ও ডাইনিং, পুলিশ সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ডিউটি অফিসারের কক্ষ নির্মাণের কাজ। করোনা মহামারীতেও তিনি করেছেন অনেক মানবিক কাজ।থানার ভিতরে স্থাপন করেছেন টাইলসে মোড়ানো স্বাস্থ্য সম্মত হাত ধোয়ার বেসিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একাধিক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করে আসছিলেন তারা। মেসের পরিবেশ ও খাবারের মান ছিল খারাপ। কৃপা সিন্ধু বালা ব্যক্তি হিসেবে একজন সদালাপী ও মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত। তার এই মহৎ উদ্যোগে থানার প্রাঙ্গন নতুন রূপে সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে কৃপা সিন্ধু বালার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমার ব্যাক্তিগত উদ্যেগে চারিদিকে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে থানা প্রাঙ্গনকে সাজানোর চেষ্টা করছি। কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালোলাগার জায়গা থেকে কাজগুলো শুরু করেছি। পুলিশ সদস্যরা সারারাত ডিউটি করে ভাল পরিবেশে থাকতে না পেরে মনোকষ্টে ভুগতেন। এজন্য তাদের বসার জন্য আলাদা করে ঘর নির্মাণ করেছি, আমি পরিচ্ছন্নতা ও শৃংখলাকে ভালোবাসি। নিজেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি তাই ফোর্সদেরকেও এসবের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি।"
এমন একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরী করতে পেরে নিজেরও ভাল লাগছে বলে তিনি (ওসি) জানান।
তিনি আরো বলেন, "জীবে প্রেম করে যেজন; সেজন সেবিছেই ঈশ্বর। আমি আজ এখানে আছি কাল বদলী হয়ে অন্যাত্র চলে যাবো। কিন্তু আমি চলে গেলেও আমার হাতে গড়া এসব থেকে যাবে।আমি চলে গেলেও কোয়াটার্সে নতুন কোন পুলিশ সদস্য আসলে এসব দেখে অন্তত একবার আমার নাম স্মরন করবে। আর এটাই আমার প্রাপ্তি।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।