এস এম ফজলে রাব্বী শুভ,ধুনট, বগুড়াঃ-
বগুড়ার ধুনটে মুজিব চত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ছাত্রনেতা মাইদুল ইসলাম রনি।
উক্ত মুজিব চত্বর উদ্বোধন করেন ধুনট শেরপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান।
পৃথিবীতে যে কোন কিছুর সৃষ্টির পেছনে যেমন একটি কারণ বা গল্প থাকে; ঠিক তেমনি ধুনটে মুজিব চত্বর প্রতিষ্ঠার পেছনেও কিছু কারন ও গল্প আছে। গল্পটি বলার আগে একটু পেছনের দিকে যেতে চাই। আজ যে জায়গাটি মুজিব চত্বর নামে পরিচিত তার আগে ঐ জায়গাটির নাম কি ছিলো সেটাই বলবো। সেই জায়গা নাম কেউ বলতো মন্দির প্রাঙ্গণ, কেউ বলতো ডাইম ভবন কমপ্লেক্স, কেউ বলতো অডিটোরিয়াম ভবন এলাকা। আজ আর কেউ ঐ নাম খুব কম লোকই বলে। এখন ঐ জায়গার নাম প্রায় সবাই বলে মুজিব চত্বর। মুজিব চত্বর বললেই মানুষ এখন এক কথায় বুঝে যায়।দিনটি ২৮ শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। এই দিনেই মুজিব চত্তরের উদ্ভাবন হয়। সকাল থেকে সাজ সজ্জায় আলোকিত হয় উপজেলা জিরো পয়েন্ট থেকে মুজিব চত্বর পর্যন্ত সমস্ত রাস্তা। একের পর এক নেতা কর্মীরা আসতে থাকে মুজিব চত্তরে। ঐ দিন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল খেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধার আয়োজন ছিলো আর একটুপর প্রধান অতিথি মুজিব চত্তরে আসবে এবং মুজিব চত্তরের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। সবার চোখে মুখে একটাই প্রত্যাশা কখন আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন!! এদিকে ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি'র নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মী প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান মহোদয় কে বরন করে নেওয়ার জন্য। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা আসলো প্রধান অতিথি এসেছেন, তিনি মুজিব চত্তরের দিকে আসছেন। ঠিক তখনই পুরো মুজিব চত্বর জয় বাংলার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠলো। "জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু" "এমপি মহোদয়ের আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম"
প্রধান অতিথি আসলেন ফিতা কেটে মুজিব চত্বর উদ্বোধন করলেন। তারপর তিনি মাইকে বলে উঠলেন আমি এখন মুজিব চত্বরের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলাম। নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুললো পুরো মুজিব চত্বর। তারপর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হলো, খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়, তারপর শুরু হয় নামী দামী শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান। ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম সোবহান, শফিকুল ইসলাম শফি, মুহম্মদ আসিফ ইকবাল সনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন আলম, মাহমুদুল হাসান বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আওয়াল, ভিপি সাইফুল ইসলাম, বগুড়া জেলা পরিষদের মহিলা প্যানেল চেয়ারম্যান ও ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজনীন নাহার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন খান, প্রভাষক সিরাজুল হক লিটন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া খন্দকার, প্রদ্যুৎ ও অভিজিৎ স্মৃতি স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি রনি সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
إرسال تعليق
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।