জানা গেছে, ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। সেই হিসাবে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করেছিল তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী, যারা এবার পরীক্ষা না দিয়েই পাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ।
জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, যেসব পরীক্ষার্থীরা চার বিষয় পর্যন্ত ফেল করে আবারও সেসব বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল, তারা অটোপাস হয়ে যাবে। পদ্ধতিগত কারণে তাদের পাস করানো হবে। সেসব বিষয়ে কী পরিমাণ নম্বর যুক্ত হবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গাইডলাইন দিলে তার ভিত্তিতে নম্বর ও গ্রেড পয়েন্ট যুক্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে দেশের সবকটি শিক্ষা বোর্ডের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পরীক্ষা বাতিল করে শতভাগ পরীক্ষার্থীকে পাস করানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
বুধবার (৭ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস কবে যাবে সেটি আমরা কেউ জানি না। এ পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।’ এইচএসসি এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে কোনো জটিলতার শিকার হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সেটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ফল তাদের পূর্বতন পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের নিয়মে পরীক্ষা আয়োজন করবে। সেখানে কোনো বাধা আসবে না। এমনকি বাইরের দেশগুলোতে পড়তে গেলেও শিক্ষার্থীদের কোনো জটিলতায় পড়তে হবে না।’
এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। তার মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।
সূত্রঃ জাগো নিউজ।
إرسال تعليق
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।