বার্তা সম্পাদক- এস এম ফজলে রাব্বী শুভ:-
বগুড়ার ধুনটে চিকাশী ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামের এক বিয়ের আসর থেকে প্রেমিকাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। অপহরনে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকার ভাইকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে অপহরণকারীরা। এ সময় বিয়ে বাড়ির লোকজন অপহরণকারীদের আটকের পর গণধোলাই দিয়ে থানায় ফোন করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করে।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এরপর তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাময়িক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারপর তাদেরকে থানা হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণকারিদের ছুরিকাঘাতে আহত উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে নববধূর মামাতো ভাই মেহেদী হাসান সবুজ (২৮) নামের একজন ছেলে।
আটককৃতরা হলেন- বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে ইমরান হোসেন তালুকদার (৩০) এবং একই গ্রামের আব্দুল সেখরের ছেলে সাদমান আলীম (২৭)। জানা গেছে, উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের খবির উদ্দিনের মেয়ে সুমিতা খাতুনের (১৮) এর সাথে বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে ইমরান হোসেন তালুকদার (৩০) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো।প্রেমিক মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে আসতো এবং এমরানের সাথেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শাহজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর এলাকার আব্দুল আছের আলীর ছেলে সামিউল মান্নানের (২৫) সাথে বিয়ে হয়। একথা প্রেমিক জানতে পেরে বিয়ে বাড়ীতে চলে আসে। বিয়ে বাড়িতে তখন ধুমধাম চলছিল। এ সময় ইমরান ও সাদমান বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে নববধূকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তখন নববধূর মামাতো ভাই মেহেদী হাসান সবুজ বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে আহত মেহেদী হাসানকে প্রথম ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানায় আটক ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন, নববধূর সাথে আমার প্রায় এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার বিয়ের খবর পেয়ে তাকে দেখার উদ্দ্যেশে বিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্ত বিয়ে বাড়ির লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের মারপিট করতে থাকে। তাদের হাত থেকে পালানোর সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে নিজেদের ছুরির আঘাতে মেয়ের ভাই আহত আহত হয়।
إرسال تعليق
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।