মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে, মানুষের বিপদে-আপদে এবং সংকটকালীন সময়ে ছাত্র-শিক্ষক, তরুণ-তরুণী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণীর মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা তাদের কাজের স্বীকৃতি সেভাবে পাচ্ছেন না। তাদের স্বীকৃতি আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে। স্বেচ্ছাসেবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকলেও বাংলাদেশে এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই। দেশে একটি কাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যেই আজকের এই সভার আয়োজন।
তাজুল ইসলাম জানান, স্বেচ্ছাসেবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে কয়েকটি সাব-কমিটি থাকবে। তিনি আরো জানান, এই জাতীয় নীতিমালার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম জোরদার হবে। উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে এবং এসডিজি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে থাকা সাব-কমিটি সারাবিশ্বের সাথে তুলনা করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে স্বেচ্ছাসেবাকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায় তা নির্ধারণ করবেন।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কতৃপক্ষের সচিব ও সিইও সুলতানা আফরোজ, ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউএনভি’র এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মিজ সেলিনা মিয়া, ওয়াটার এইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
সূত্রঃ বণিক বার্তা।
إرسال تعليق
ধন্যবাদ,
আপনার মন্তব্যের জন্য।